জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের বিবৃতি

জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের মুফতিগণ এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে ফেলে উগ্র ও ভ্রান্ত নাস্তিক্যবাদীদের পক্ষ অবলম্বন করবেন না। ২৮ বছর আগের চরম বিতর্কিত ও পরিত্যক্ত একটি মামলা হঠাৎ সচল করে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি থাকবে না, এর ওপর হাইকোর্টের শুনানি গ্রহণের সিদ্ধান্তে দেশের উলামা-মাশায়েখ ও কোটি কোটি তৌহিদী জনতা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা শতকরা ৯৫ ভাগ জগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শবিরোধী। তারা কি দেশে ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি করে মুসলিম উম্মাহ ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়?   

মুফতিগণ বলেন, আমাদের দেশের সংবিধানের প্রথম পরিচ্ছদের ২-ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’ এরপরও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের প্রশ্ন তোলার মানেই হচ্ছে, সাংবিধানিকভাবে এ দেশে উগ্র ও ভ্রান্ত নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়! ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস, তাহজিব-তামাদ্দুন ও মুসলিম চেতনাবোধের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে এদেশের উলামা, পীর, মাশায়েখের নেতৃত্বে কোটি কোটি মুসলমান চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ। দেশের শান্তি-শৃংখলা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ দেশের উলামা, পীর, মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা নাস্তিক্যবাদীদের নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সাথে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা এটাকে দুর্বলতা বা নিষ্ক্রিয়তা মনে করে ধারাবাহিকভাবে দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের চক্রান্ত করেই চলেছে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বহাল রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী সোমেন্দ্রনাথ গোস্বামির দায়ের করা রিট হাইকোর্টে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন, মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় একই বিষয়ে ২৮ বছরের পুরনো একটি মামলা আবার সচল করার উদ্দেশ্যে কি তা খতিয়ে দেখতে আমরা সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচিছ। অন্যথায় ইসলাম ও দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা দেশকে অনিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের ব্যানারে সকল দ্বীনদার ঈমানদার-মুসলিম দাবিদারদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় ওরা দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করতে বেপরোয়া হয়ে পড়বে। মুফতিগণ আরো বলেন, দুনিয়ালোভী কতিপয় আলেম নামধারীরা সামান্যলোভে যাতে এ ঈমানী আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সে ব্যাপারেও সকল ইসলামী মহলকে চোখ-কান খোলা রাখার অনুরোধ করছি। নিকট অতীতে উক্ত উলামায়ে ছুঁ’রাই গোপন ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন ঈমানী আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করেছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টাগণ যথাক্রমে শীর্ষ আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, হাফেজ্জী হুজুরের সাহ্বেজাদা হাফেজ মাওলানা আতা উল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ড. মুফতি ইয়াহইয়ার রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল ড. মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী। অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- মুফতি আবু তাহের কাসেমী, মুফতি জুবায়ের আহমদ, মুফতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুফতি মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মুফতি মাহ্বুবুর রহমান, মুফতি নাসির উদ্দীন, মুফতি গোলাম রহমান, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মুফতি মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি মুহাম্মদ ফজলুল করিম, মুফতি মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মদ মুবারক হোসাইন, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ জাফর আহমাদ, মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মুফতি মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, হাফেজ মুফতি আব্দুর রহমান, প্রফেসর মাওলানা মুফতি ইসহাক মাদানী, মুফতি গোলাম উল্লাহ, মুফতি সিদ্দিক আহমদ, মুফতি শহীদুল ইসলাম, মুফতি গোলাম রহমান কাসেমী, মুফতি আবুল কাশেম কাসেমী, মুফতি হিফজুর রহমান কাসেমী, মুফতি শরীফুল ইসলাম নদভী, মুফতি আহসান কামাল নদভী, মুফতি আবদুর রব নদভী, মুফতি আবদুল হালিম নদভী, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত, মুফতি মুহাম্মদ জুনায়েদ হোসেন, মুফতি মুহাম্মদ তোজাম্মেল হক, মুফতি মুহাম্মদ মাহ্বুবুল আলম, মুফতি মুহাম্মদ মাসুদ আলম, মুফতি মুহাম্মদ হাসান, মুফতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মুফতি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, মুফতি মুহাম্মদ এমদাদুল হক, মুফতি আফতাব উদ্দীন, মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুফতি রফিকুল ইসলাম, মুফতি নুরুল হাসান, মুফতি নুরুল ইসলাম, মুফতি নুরুল বাসার, মুফতি আবু বকর, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুফতি মোতালিব, মুফতি গোলাম বারী, মুফতি আঃ জলিল, মুফতি ইমরান, মুফতি আঃ রহীম, মুফতি নুরন্নবী, অধ্যক্ষ মুফতি বায়েজিদ, অধ্যক্ষ মুফতি আবু বকর, মুফতি হাফেজ মশিউর, মুফতি আঃ ওয়াদুদ, হাফেজ মুফতি আব্দুস সামাদ, মুফতি কাওসার আহমদ, অধ্যাপক মুফতি শহীদুল্লাহ, অধ্যক্ষ মুফতি নূরুল ইসলাম, মুফতি কামরুল ইসলাম, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, মুফতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ মনির হোসেন, মুফতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান, মুফতি মুহাম্মদ আবু হানিফ, মুফতি মুহাম্মদ মইনুদ্দীন, মুফতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, মুফতি আব্দুল মান্নান, মুহাদ্দিস মুফতি এ.টি.এম শুয়াইব, মুফতি আনোয়ারুল করিম, মুফতি আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ মুফতি নুরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মুফতি হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক মুফতি ফখরুদ্দীন প্রমুখ।